প্রকাশিত: Sun, Jun 11, 2023 11:53 PM
আপডেট: Sun, Jun 29, 2025 3:19 AM

দূষণ-দখলে অস্তিত্ব সংকটে শীতলক্ষ্যা

মোশতাক আহমেদ: নারায়ণগঞ্জের ইতিহাস-ঐতিহ্যেরধারকবাহক শীতলক্ষ্যা নদী। যে নদীকে ঘিরেই জেলার গোড়াপত্তন। এই শীতলক্ষ্যা নদীকে ঘিরেই প্রায় ৪০০ বছর আগে ব্যবসা-বাণিজ্যের শহর হিসেবে গড়ে ওঠে প্রাচ্যের ডান্ডিখ্যাত নারায়ণগঞ্জ। এখানে গড়ে উঠেছে নানা ধরনের শিল্পকারখানা। স্বার্থান্বেষী মহলের দখল আর দূষণের কবলে পড়ে নদীটি আজ মৃতপ্রায়।  

প্রতিদিন ১৫ কোটি লিটারেরও বেশি অপরিশোধিত শিল্প ও গৃহস্থালির তরল বর্জ্য পড়ছে শীতলক্ষ্যায়। নদীর পানিতে ময়লা ও বর্জ্যের পরিমাণ ৮০ থেকে ৯০ শতাংশ। শীতলক্ষ্যার প্রতি লিটার পানিতে ৪ থেকে ৬ মিলিগ্রাম অক্সিজেন থাকার কথা থাকলেও আছে ১ থেকে ২ মিলিগ্রাম। এতে মাছসহ অন্যান্য জলজ প্রাণীর বসবাস অনুপযোগী হয়ে উঠেছে নদীটি।

তথ্যটি নিশ্চিত করে জেলা পরিবেশ অধিদপ্তরের উপপরিচালক মুহাম্মদ আবদুল্লাহ আল-মামুন বলেন,  জেলায় ১২০টি প্রতিষ্ঠানের ইটিপি প্লান্ট নেই। তবে আমরা মনিটরিং করছি। ইটিপি প্লান্ট নেই এরূপ প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে তালিকা করে ইতিমধ্যে নানা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। 

 বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলনের (বাপা) নারায়ণগঞ্জ শাখর সভাপতি এ বি সিদ্দিক বলেন, কারখানাগুলো রাসায়নিক বর্জ্য ও পানি পরিশোধন ছাড়াই নদীতে ফেলে। ইটিপি থাকলেও তা ব্যবহার করে না। 

বিআইডব্লিউটিএর তথ্যমতে, ২০১৯ সালের পর থেকে এ পর্যন্ত শীতলক্ষ্যার পাড়ে উচ্ছেদ অভিযান চালিয়ে ৬১৫টি স্থাপনা গুঁড়িয়ে দেয়া হয়। উদ্ধার করা হয় নদীর ২৬ দশমিক ৬ একর জমি। সীমানা পিলার ও ওয়াকওয়ে নির্মাণের উদ্যোগ নেয়া হলেও কাজ বেশিদূর হয়নি। নদী দখলমুক্ত করতে আবারও পরিদর্শন শুরু হয়েছে। নদীর দুপাড় দখলমুক্ত করতে প্রতিনিয়ত উচ্ছেদ অভিযান অব্যাহত রয়েছে।

জেলা প্রশাসক মঞ্জুরুল হাফিজ বলেন, দূষণ বন্ধে আমাদের নিয়মিত অভিযান অব্যাহত রয়েছে। নদী দূষণ কিংবা নদী দখল না হয় সেজন্য পরিবেশ অধিদপ্তর, বিআইডব্লিউটিএর সাথে সমন্বয় করে কার্যক্রম চলমান। নৌ পুলিশ, কোস্টগার্ড সবাইকে নিয়ে আমরা এ ধরনের অনিয়ম বন্ধে তৎপর রয়েছি। সম্পাদনা : মুরাদ হাসান